আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মৌলভীবাজার জেলার নদ-নদী।
মৌলভীবাজার জেলার নদ-নদী:-
মৌলভীবাজারের নদ-নদী সমূহঃ-
১। মনু নদী (মৌলভীবাজার সদর)
মনু নদী একটি ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সখানটাং পর্বতের কাহোসিব চুরার নিচে উৎপত্তি লাভ করে ও উত্তর-পূর্ব দিকে কুমারঘাট ও কৈলাসহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে এটি মৌলভীবাজার জেলার মধ্য দিয়ে সিলেট সমভূমিতে চলে গিয়েছে, পরবর্তীতে ধোলাই নদী এটির সাথে সাথে মিলিত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে এবং কুশিয়ারা মনুমুখে গিয়ে মিশেছে। এটি ১৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ, যা ত্রিপুরার দীর্ঘতম নদী। এটি মনু শহরের কাছে অবস্থিত।

২। ধলাই নদী (কমলগঞ্জ)
ধলাই নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। নদীটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার জেলার একটি নদী। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক ধলাই নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৪০।
৩। ফানাই নদী (কুলাউড়া)
৪। জুড়ী নদী (জুড়ী)
জুড়ী নদী (Juri River) :: বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী প্রায় ২৬০টি আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে। বাংলাদেশে আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত এবং মায়ানমার থেকে ৫৮টি গুরুত্বপূর্ণ নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তার মধ্যে ভারতের সাথে ৫৫টি নদী রয়েছে।
জুড়ী তাদের মধ্যে অন্যতম। জুড়ী নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর-পূর্বাংশের পাহাড়িয়া অঞ্চলে উদ্ভব হয়ে মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত কুলাউড়া উপজেলার ধর্মনগর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ধর্মনগর থেকে শুরু করে বেশ কিছুদূর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর উত্তর দিকে প্রবাহিত হওয়ার পর কুলাউড়া উপজেলার মধ্য দিয়ে আরও উত্তরে গিয়ে হাকালুকি হাওরের মধ্য দিয়ে পশ্চিম দিকে মোড় নিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জের নিকট কুশিয়ারা নদীতে পড়েছে। নদীটির বাংলাদেশ অংশের দৈর্ঘ্য ৫০ কিমি। প্রশস্ত ৮২.৫ মিটার।

৫। কন্ঠিনালা নদী(জুড়ী)
অমিত সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। এদেশে বিরাজমান প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশের কাতারে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন অঞ্চলভিত্তিক সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং কেন্দ্রমুখী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে এসে অঞ্চলভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ।
বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলই ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে স্বকীয় বা অনন্য। অন্যান্য জেলার মত মৌলভীবাজার জেলাও রয়েছে কিছু স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য । মৌলভীবাজার জেলার অন্যান্য ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে জেলাটিকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
পরিকল্পিত উদ্যোগ, সফল বিনিয়োগের মাধ্যমে জেলা ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারলে তা জেলাটির পরিচিতি বৃদ্ধির পাশাপাশি অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করতে পারবে। এর ফলে রাজস্ব অর্জনের সম্ভাবনাময় উৎস সৃষ্টির পাশাপাশি স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হবে নতুন এক মাত্রা।

আরও পড়ুনঃ
