আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মৌলভীবাজার জেলার অভ্যুদয়।
মৌলভীবাজার জেলার অভ্যুদয়:-
মুক্তিযুদ্ধ : মুক্তিযুদ্ধে মৌলভীবাজার ছিল ৪ নং সেক্টরের অধীন। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন সি.আর.দত্ত। মৌলভীবাজার সদরের ঘরোয়া গ্রামের হত্যাকাণ্ড, নড়িয়া গ্রামের গণহত্যা, রাজনগর পাঁচগাঁও এর গণহত্যা, বড়লেখা ও কুলাউড়ার বধ্যভূমিতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ আজও মানুষকে কাঁদায়। ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শত্রুমুক্ত হয়।

১৭৭১ সালে, মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ তার জমিদারি ভূমি ব্যবহার করে মনু নদীর তীরে একটি বাজার স্থাপন করেছিলেন। তিনি ভোজ্যপণ্য যেমন ফলমূল ও শাকসবজী আমদানি শুরু করেছিলেন যাতে লোকেরা ক্রয়ের পাশাপাশি বিক্রি করাও সুযোগ পায়। এর অবস্থানগত কারণে এখানে ভূ ও স্থল পরিবহনের মাধ্যমে সহজে আসা যাওয়া করা যেত।
১৮৮২ সালে, বাজারটি দক্ষিণ সিলেট মহকুমার সদর দফতর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১২ সালে ব্রিটিশবিরোধী খেলাফত আন্দোলন মৌলভীবাজারেও ছড়িয়ে পড়ে, এতে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ, হুসেন আহমেদ মাদানী এবং সরোজিনী নাইডু। ১৯৩২ সালে, আলী আমজাদ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় একটি সরকারি বিদ্যালয় হিসাবে চালু হয়।

১৯৭১-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-এর সময়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী তার ৩১৩ তম ব্রিগেডকে সিলেট থেকে মৌলভীবাজারে স্থানান্তরিত করে এবং ২০২ তম অ্যাডহক ব্রিগেডের নিউক্লিয়াস গঠনের জন্য ৩১৩ তম থেকে একটি ব্যাটালিয়ন সিলেটে রাখা হয়েছিল। ২০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে, মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে স্থলমাইন বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন মানুষ নিহত এবং আহত হয়েছিল।
১৯৮৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা এবং মৌলভীবাজার জেলা (যার নাম দক্ষিণ সিলেট থেকে বদলে রাখা হয়) প্রতিষ্ঠিত হলে মৌলভীবাজারকে জেলা ও উপজেলা সদর করা হয়। ২০০৫ সালে, এখানে সাইফুর রহমান স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুনঃ
